পিরোজপুর জেলার অভ্যুদয়

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় পিরোজপুর জেলার অভ্যুদয়, পিরোজপুর জেলা বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের মধ্যে বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত ।

পিরোজপুর জেলা সর্ম্পকে কিছু তথ্যঃ-

পিরোজপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পিরোজপুরের উত্তরে বরিশাল জেলা ও গোপালগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে বরগুনা জেলা, পূর্বে ঝালকাঠি জেলা ও বরগুনা জেলা, পশ্চিমে বাগেরহাট জেলা ও সুন্দরবন। পশ্চিমে বলেশ্বর নদী পিরোজপুরকে বাগেরহাটের থেকে আলাদা করেছে।

 

পিরোজপুর জেলার অভ্যুদয়
ভাসমান সবজি ক্ষেত মুগারঝোর – পিরোজপুর জেলা

 

পিরোজপুর জেলার অভ্যুদয়:-

বর্তমান পিরোজপুর জেলা বঙ্গোপসাগরের ঔরসজাত জোয়ার-ভাটার পলিরেণুতে গড়া একটি পলল ভূ-ভাগ। সমুদ্রের লোনাজল স্নাত হয়ে গাঙ্গেয় বদ্বীপের দক্ষিণভাগে সাগরবক্ষে একদিন যে মৃত্তিকা উঁকি দিয়েছিল, সেটিই কালক্রমে পরিণত হয়েছে জনপদে, মুখরিত হয়েছে জনকোলাহলে।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

তবে গাঙ্গেয় বদ্বীপের যে ভূ-ভাগ নিয়ে পিরোজপুর জনপদ গঠিত, সে অঞ্চল অপেক্ষাকৃত বয়সে নবীন ও বাংলাদেশের দক্ষিণভাগে অবস্থিত প্রান্ত ভূগোলের অন্তর্ভুক্ত। পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক মতে, ঋগবেদের আমলেও বঙ্গের দক্ষিণভাগ ছিল অতল সমুদ্রে নিমজ্জিত। মৌর্যযুগে পলল সংযোগে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ গড়ে ওঠলে ভূ-তাত্ত্বিকভাবে ক্রমশ পিরোজপুর ভূ-ভাগের পলল উত্থান ঘটে।

পৌরাণিক নদী গঙ্গার পূর্বগামী শাখা নলিনী, হলদিনী, পাবনী নামে পরিচিত ছিল। পৌরাণিক নদীর উত্তরসূরী আধুনিক গঙ্গা, পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, সুগন্ধার পলিরেণু গাঙ্গেয় বদ্বীপে যে সব দ্বীপ তথা নব্য ভূ-ভাগ সৃষ্টি করে, পিরোজপুর জেলার জনপদ সে সব দ্বীপেরই অংশবিশেষ। তবে জনপদ হিসেবে গড়ে ওঠেছে আরও পরে।

ঐতিহাসিকদের ধারণায় পাল ও সেন আমলে বিচ্ছিন্নভাবে জনবসতি গড়ে উঠতে শুরু করলেও মূলত মোগল ও সুলতানি আমলে এ অঞ্চলে ব্যাপক জনবসতি গড়ে ওঠে। তবে উনিশ শতক পর্যন্ত পিরোজপুর জেলার একটি অংশ ছিল জলাশয়। এর মধ্যে স্বরূপকাঠির সাতলা, নাজিরপুরের বিল ও ভান্ডারিয়া অঞ্চলে চেচরি-রামপুর বিল অন্যতম।

 

পিরোজপুর জেলার অভ্যুদয়
কবি আহসান হাবিব এর বাড়ি – পিরোজপুর জেলা

 

আরও পড়ূনঃ

1 thought on “পিরোজপুর জেলার অভ্যুদয়”

Leave a Comment